Revolutionary democratic transformation towards socialism

‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ আজ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক


শহীদ নূর হোসেন-শহীদ সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটো দিবসে আজ ১০ নভেম্বর ২০২৩ সকাল ৯ টায় নূর হোসেন স্কয়ারে ও মুক্তি ভবনে আমিনুল হুদা টিটোর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

এসময় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কাজী রুহুল আমিন, মানবেন্দ্র দেব, লাকি আক্তার, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, মন্টু ঘোষসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, “১৯৯০ এ স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রামে বিজয়ী হলেও গণতন্ত্র মুক্তি পায়নি। স্বৈরাচারের আর্থসামাজিক ভিত্তি পাল্টানো

যায়নি। আজ দেশে দূর্বৃত্তায়িত রাজনীতি ও বর্তমান সরকারের দুঃশাসন, স্বৈরাচার কর্তৃত্ববাদের আরেক ভিত্তি তৈরি করেছে। আজ তাই ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।”

নেতৃবৃন্দ নীতিনিষ্ঠ অবস্থান থেকে দুঃশাসনের অবসান ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম গড়ে তুলতে সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “৯০ এর গণঅভ্যূথানের পর পালাক্রমে যারা দেশ শাসন করেছে, তারা তিন জোটের রূপরেখা ও আচারণবিধি বাস্তবায়ন করেনি। বরং ক্ষমতায় আসা ও ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতায় ঐ তিন জোটের অঙ্গিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। দেশের বর্তমান সংকট এরাই তৈরি করেছে। এদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন, গণসংগ্রাম গড়ে তুলেই জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
 
শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..