প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
বাম গণতান্ত্রিক জোটের আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য জোটের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাচ্ছি সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বন্ধুগণ,
আপনারা সকলেই জানেন দেশ ও জাতি আজ এক গভীর সংকটে নিপতিত। সংবিধানের নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী দেশে এখন নির্বাচনকালীন
সময় চলছে। গত ২৯ অক্টোবর থেকে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও চলতি নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি তফসিল ঘোষণা এবং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট গ্রহণের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের গ্রহণযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হওয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার জনমত ও বিরোধী দলসমূহের দাবি উপেক্ষা করে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। যা নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
সংবাদিক বন্ধুগণ,
নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি অন্যতম উপাদান। বুর্জোয়া উত্থানেরকালে নিয়মতান্ত্রিক শাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নির্বাচন চালু হয়েছিল, যাতে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫২ বছরেও একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা শাসকশ্রেণি গড়ে তুলতে পারেনি। সেজন্যই প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর ভোটের আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবারের পরিস্থিতি অনেক গভীর ও ভয়াবহ। গত ৫২ বছরে দেশে ১১টি সাধারণ নির্বাচন (সংসদ নির্বাচন) অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্যে ৭টি দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে তার সবগুলো নিয়ে জাল-জালিয়াতি-প্রশাসনিক কারসাজির অভিযোগ রয়েছে এবং ঐ নির্বাচনগুলোতে ক্ষমতাসীনরাই বিজয়ী হয়েছে। আর যে ৪টি নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলো আপাত অর্থে নিরপেক্ষ হয়েছে এবং তাতে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটেছে অর্থাৎ যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বিজয়ী হতে পারেনি।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
বাংলাদেশের নির্বাচনগুলির মধ্যে বিশেষভাবে গত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক কারচুপি-অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। যেখানে সরকার গঠন করতে ১৫১ জন সংসদ সদস্য প্রয়োজন সেখানে ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন প্রার্থী জয়লাভের ঘটনা বাংলাদেশে তথা বিশ্বে নজিরবিহীন এবং ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতেই ব্যালটে সীল মেরে বাক্স ভর্তি করে বিজয়ী হয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় বসেছিল এটাও পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে অকল্পনীয়। এইসব অভিজ্ঞতা থেকেই সকল বিরোধী দল ও দেশবাসী মনে করে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। শুধু জাতীয় সংসদের নির্বাচন নয়, বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এবং উপ-নির্বাচনেও একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়ে আসছে। এর ফলে নির্বাচন, নির্বাচন ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। যার প্রতিফলন হিসেবে ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি দিন দিন উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
এমন পরিস্থিতিতে গত ২০১৮ সালের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর থেকেই আমরা বাম গণতান্ত্রিক জোট এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক বৈধতা নেই বলে সরকারের পদত্যাগ, ভোট ডাকাতির সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করে আসছি। বিএনপিসহ অপরাপর বিরোধী দলও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় নির্বাচন যখন সন্নিকটে তখন বিরোধী দলের উপর পুলিশি হামলা, সমাবেশ পণ্ড করে দেয়া, গায়েবী মামলা দিয়ে নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার, গণগ্রেপ্তার চালিয়ে সরকার একদিকে দমন পীড়ন তীব্র করছে অন্যদিকে নির্বাচনী পরিবেশকে সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।
পরিকল্পিতভাবে বিরোধী দলের সমাবেশে পুলিশি হামলা ও সমাবেশ পণ্ড করে দেয়ার সময় একজন পুলিশের মৃত্যু, টিয়ারশেলের আঘাতে একজন সাংবাদিকের মৃত্যুসহ ২০/২৫ জন সাংবাদিকের আহত হওয়া, একজন যুবদল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ঐ ঘটনার জেরে বিরোধী দলসমূহের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে হরতাল-অবরোধ চলছে। সভা-সমাবেশ-হরতাল, ধর্মঘট রাজনৈতিক দল ও নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সরকার বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে ও হরতাল-অবরোধের একই দিনে শান্তি সমাবেশের নামে লাঠি সোটা নিয়ে মহড়া দিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষকে অনিবার্য করে তুলেছে, যা দেশবাসীর মধ্যে এক গভীর শংকা ও ভীতির সৃষ্টি করেছে।
নির্বাচন নিয়ে যে সংকট ও আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা নিরসনের উদ্যোগ না নিয়ে সরকার গ্রেপ্তার-দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়ে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে, যা দেশকে আরও গভীর থেকে গভীরতর সংকটে নিক্ষেপ করবে। নির্বাচন কমিশনও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থেকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়ে সরকারের তল্পীবাহক হিসেবে একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণার পাঁয়তারা করছে যা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতকে অগণতান্ত্রিক পথে ঠেলে দেবে। নির্বাচন কমিশনও যে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন নয়, তা তাদের একেবার একেক রকম বক্তব্য থেকে স্পষ্ট। সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারের প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের সচিবকে কমিশনের মুখপাত্র হিসেবে বক্তব্য-বিবৃতি দেয়ার দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে তা পুনর্বার প্রমাণিত হলো।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
সরকারের একগুয়েমি মনোভাবের কারণে রাজনীতিতে সংঘাত-সহিংসতা মৃত্যুর মিছিল ক্রমাগত বাড়ছে, এটা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। একদিকে রাজনৈতিক সংকট, পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকটও চরমে। দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। মুনাফাখোর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মে জনজীবন অতিষ্ঠ। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ দূরের কথা সরকার নিজেই সিন্ডিকেটের অংশ হিসেবে কাজ করছে। লুটপাট, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরৎ না দেয়া, অর্থপাচার, রিজার্ভ সংকট ইত্যাদি অথনৈতিক ক্ষেত্রে দুর্বিসহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সরকার এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না উপরন্তু দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। দেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকেরাও ন্যায়সংগত মজুরির দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে। সরকার তাদের দাবি না মেনে গুলি করে শ্রমিক হত্যা করছে। হাজার হাজার শ্রমিকের নামে মামলা দিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে। গতকাল ন্যূনতম মজুরি বোর্ড শ্রমিকদের দাবি, বাজারদর, উচ্চদ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় না নিয়ে মালিক পক্ষের প্রস্তাব অনুযায়ী ১২ হাজার ৫ শত টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করেছে। যা কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোনরকম আলোচনা পর্যালোচনার সুযোগ না রেখে মালিকদের প্রস্তাবকেই মজুরি বোর্ড এবং সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছে ও প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়েছে বর্তমান সরকার শ্রমিকের বাঁচার দাবিকে উপেক্ষা করে মালিকের মুনাফার স্বার্থ রক্ষা করছে।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
দেশের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রহীনতা, স্বৈরাচারী পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনা ও শাসকশ্রেণির নতজানু নীতির কারণে মার্কিন-ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী দেশসমূহ আমাদের দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাচ্ছে। যা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকীস্বরূপ। দেশের জনগণের প্রতি আস্থা না থাকায় এবং ক্ষমতায় থেকে গণবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করার কারণেই শাসকশ্রেণির দলসমূহ বিদেশি শক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। শাসকশ্রেণি ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একদিকে সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতজানু থাকছে অপরদিকে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। অনুমতি পাওয়ার পরেও ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র সমাবেশ পণ্ড করা হয়েছে অন্যদিকে অনুমতি না দিলেও জামায়াতকে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে দিয়েছে। বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও ধর্মান্ধ মৌলবাদী অপশক্তি দেশকে অগণতান্ত্রিক শাসনে নিয়ে যাওয়ার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। বাম গণতান্ত্রিক জোট সাম্রাজ্যবাদী ও মৌলবাদী শক্তির অপতৎপরায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশবাসীকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সতর্ক থাকা ও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
ক্ষমতায় থেকে গণবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা, উন্নয়নের নামে জনগণের কাঁধে লুণ্ঠনের বোঝা চাপানো এবং দুর্নীতি-দুঃশাসনে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার ফলে শাসক দল জনসমর্থন হারিয়েছে। তাই দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে শাসক দল ভয় পাচ্ছে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে শাসক দল জনগণের আকাঙ্খা অনুযায়ী নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবিকে অগ্রাহ্য করে চলেছে যার পরিণতিতে বর্তমান সংকট ও আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
* এমতাবস্থায় আমরা বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে দেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সংঘাত-সংঘর্ষের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
* বাম জোট হামলা-মামলা-গায়েবী মামলা, গণগ্রেপ্তার বন্ধ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী নেতৃবৃন্দের মুক্তি দিয়ে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছে।
* বাম জোট দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ, মুনাফাখোর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।
* বাম জোট দুর্নীতি, লুটপাট, ঋণখেলাপী, অর্থপাচার রোধ করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দাবি জানাচ্ছে। একই সাথে দুর্নীতিবাজ, ব্যাংকডাকাত, ঋণখেলাপী, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানাচ্ছে।
* বাম জোট বাজারদর, উচ্চদ্রব্যমূল্য, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে পোশাক শ্রমিকদের ন্যায়সংগত ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা, নিহত শ্রমিকদের আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছে।
* বাম জোট মনে করে ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সহিংসতার ঘটনায় সরকার ও বিরোধী দল পরস্পরকে দোষারোপ করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। বাম জোট ঐদিনের সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত নিরপেক্ষ বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে।
* বাম জোট মনে করে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলসমূহকে বাইরে রেখে যেকোনোভাবে গায়ের জোরে একতরফা নির্বাচন করার অর্থ হবে রাজনৈতিক সহিংসতাকে জিইয়ে রাখা। এর ফলে অর্থনীতি, রাজনৈতিক পরিবেশ ও সামাজিক শৃংখলা বিনষ্ট হয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষ বৃদ্ধি পাবে। তাই একতরফা নির্বাচনের চিন্তা পরিহার করে সমঝোতা ছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
কর্মসূচি
১. আগামী ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন, আমিনুল হুদা টিটো দিবসে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। ঐ দিন ঢাকায় সকাল ৯টায় নূর হোসেন স্কোয়ারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে বিক্ষোভ মিছিল এবং পল্টন মোড়ে সকাল ১০টায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
২. একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে ঐদিনই বাম জোটের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। একই সাথে পর দিন থেকে লাগাতার হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের জন্য জোটের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের গণতন্ত্রকামী জনগণকে প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
৩. আগামী ১০ নভেম্বর থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী বাম জোটের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।
শুভেচ্ছান্তে
ইকবাল কবীর জাহিদ
সমন্বয়ক
বাম গণতান্ত্রিক জোট
কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ