আজ ১৮ জুলাই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সভা পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড শামছুজ্জামান সেলিম ও কমরেড অধ্যাপক এ এন রাশেদা।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের নামে নির্লজ্জ প্রহসন সংঘটিত হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর হামলা ও মাত্র ১১% ভোটারের উপস্থিতি প্রমাণ করে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। এ ধরণের নির্বাচনের প্রতি জনগণেরও আস্থা নেই। নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা অর্জিত হবে না।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, এদিকে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধনের নামে আরেক প্রহসন সংঘটিত করে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এই নির্বাচন কমিশন তার ভূমিকার মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তে জনগণের আস্থা হারাচ্ছে।
দুঃশাসনের অবসান, ব্যবস্থা বদলাতে আন্দোলন-সংগ্রাম জোরদার করে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির সমাবেশ গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে অভয়নগরে কমিউনিস্ট
লীগের সভায় ও শিক্ষকদের উপর হামলার নিন্দা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় সভা থেকে।
সভায় বলা হয়, শুধুমাত্র ক্ষমতার মসনদে থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য শাসক গোষ্ঠী '৭১ এর ঘাতক সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তিকে যে অপতৎপরতার সুযোগ দিচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। দেশের জনগণের শক্তির উপর দাঁড়িয়েই গণআন্দোলন গণসংগ্রাম গড়ে তুলে বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদী প্রবণতা রুখতে হবে, দুঃশাসন হঠাতে হবে।
সভায় নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতায়ন ও কার্যকরী করা, নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, দুর্নীতি, লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিলের নামে শ্রমিকের ধর্মঘটের অধিকার রুখে দাঁড়ানো, নির্বাচন কমিশনের অধিকার খর্বের প্রতিবাদে এবং চলমান সরকারের দুঃশাসন হটানো ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রামকে বেগবান করতে আগামী ২০ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে সকল জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান হয়।
সভায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান হয়।