Revolutionary democratic transformation towards socialism

লুটপাটের দায় জনসাধারণের কাঁধে চাপিয়েছে সরকার


বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং জাতীয় সম্পদ রক্ষা, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার, সারাদেশে রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আজ ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, শনিবার ঢাকার দৈনিক বাংলার মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ জেলা কমিটি। সমাবেশ শেষে ফকিরাপুল, রাজারবাগ, শাহজাহানপুর হয়ে খিলগাঁও পর্যন্ত পদযাত্রা অুনষ্ঠিত হয়।

পদযাত্রার পূর্বে সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সম্পাদকণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীর, জেলা কমিটির নেতা হযরত আলী, আব্দুল কুদ্দুস, জনি আরাফ খান, মঞ্জুর মঈন, সিপিবি গোড়ান শাখার সহ-সম্পাদক অনিক রায় প্রমুখ।

পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, গণবিরোধী সরকার আর অবৈধ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে ভোক্তা জনগণের পকেট কাটার মহোৎসব চলছে। ‘বিনা ভোটের সরকার’ দেশের মানুষকে আজ ভাতে মারতে চলেছে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তাদের লুটপাটের সকল দায় জনসাধারণের কাঁধে চাপিয়ে যাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ, দেশবাসীকে লুটপাটতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, সর্বব্যাপী লুটপাটের ধাক্কায়

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আনেক আগেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সরকার লুটেরা, মুনাফাখোর, মজুদদারদের স্বার্থের ‘পাহারাদার’ হিসেবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটকে রক্ষা করে চলেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি সরকার কোনো দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে না।

সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, শাসকদল মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে নয়া উদারনীতিবাদ ও মুক্তবাজার দর্শনের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছে। সরকারের বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের অভাবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেট রমজান মাস সামনে রেখে দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে।

সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ চলমান লুটপাটতন্ত্র ও দুঃশাসনের অবসান ঘটানোর লড়াইয়ে দেশের সকল বিবেকবান মানুষকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান। গণপ্রতিরোধকে গণঅভ্যুত্থানে রূপান্তরের মাধ্যমে স্বৈরতান্ত্রিক দুঃশাসন অবসানের সংগ্রাম বেগবান করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সমাবেশ থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানো, শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু, টিসিবির কার্যক্রম জোরদার করা, ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু, ‘বাফার স্টক’ গড়ে তোলা, অবৈধ ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া, লুটেরা-মজুদদার-মুনাফাখোর-মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানো হয়।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..