বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তীব্র সমালোচনা করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতের ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায় আবারো জনগণের ওপর চাপানো হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে নিত্যপণ্যের দাম আরেক দফা বাড়বে- সাধারণ জনগণের ওপর ‘কাটাযুক্ত বোঝা’ হয়ে দাঁড়াবে।
আজ ২১ নভেম্বর বাম গণতান্ত্রিক জোটের স্বমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবি’র সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান আর্থিক সংকটে দায়িত্বশীল সরকার হলে জনগণের ঘাড়ের বোঝা কমানোর চেষ্টা করত কিন্তু যেহেতু এই সরকার অনির্বাচিত, জনগণের মতামত ছাড়া ক্ষমতায় আছে সেকারণে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার দিকে তার কোনো নজর নেই।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘বিদ্যুৎ খাতে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে’ ‘ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে হবে‘-এসব কথা বলে দাম বাড়ানো হচ্ছে। অথচ বিদ্যুৎ খাতে বড় ভর্তুকি যাচ্ছে বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে অহেতুক টাকা দেয়ার জন্য। গত ১২ বছরে এর জন্য দিতে হয়েছে ৮৬ হাজার কোটি টাকা। এই টাকার অধিকাংশ গেছে বিশেষ গোষ্ঠী আর কমিশন ভোগীদের পকেটে।
বিবৃতিতে বলা হয় গণশুনানীতে বিইআরসি মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারেনি। অথচ দাম বাড়ানো হলো। এর মধ্য দিয়ে বিইআরসি নিজেকে সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত করে ফেলেছে।
বিবৃতিতে অবিলম্বে বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লুটপাট বন্ধ এবং ভুলনীতি ও দুর্নীতির জন্য দায়ীদের চিহিৃত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।