Revolutionary democratic transformation towards socialism

‘আইএমএফ-এর ঋণ ছাড়া চলবে না, অবস্থা এমন না’ ‘শর্ত মেনে খাদ্য, জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে ভর্তুকি প্রত্যাহার জনজীবনে সংকট আরো বাড়াবে’


আইএমএফ-এর কাছ থেকে শর্তযুক্ত ঋণ নেওয়ার প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ঋণ নেওয়ার মতো পরিস্থিতি কেন তৈরি হলো তার কৈফিয়ত সরকারকে দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার যে নীতিতে দেশ পরিচালনা করছে, তার অনিবার্য পরিণতিতে আজ সংকট বাড়ছে। বিকল্প জ্বালানি নীতি ও খাদ্যে প্রণোদনা বাড়লে, দুর্নীতি লুটপাট মেগা প্রকল্পের নামে অহেতুক খরচ না হলে দেশের সংকট অনিবার্য হতো না।

আজ ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার পুরানা পল্টনে অনুষ্ঠিত বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক এম. এম. আকাশ, বাংলাদেশ বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ-এর সহ সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক

আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আমেনা খাতুন। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।
 
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আইএমএফ এর ঋণ ছাড়া চলবে না, অবস্থা এমন না’, ‘শর্ত মেনে খাদ্য, জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে ভর্তুকি প্রত্যাহার জনজীবনে সংকট আরো বাড়াবে’।

বক্তারা আইএমএফ-এর শর্তযুক্ত ঋণ প্রত্যাখান করে ‘পাচারের টাকা ও খেলাপী ঋণ উদ্ধার, দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ ও অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কমানোর দাবি জানান। বক্তারা বলেন, আইএমএফ-এর জালে আবদ্ধ হয়ে কোনো দেশের মুক্তি মিলেনি বরং ঋণের জালে আবদ্ধ হওয়া বেড়েছে। বাংলাদেশকে এই ফাঁদে ফেলে সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদীরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছে।

বক্তারা সরকারের অনৈতিক কর্মকাণ্ড আর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..