বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ ৩০ আগস্ট ২০২২ এক বিবৃতিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ও কমানো নিয়ে সরকারের বর্তমান কার্যক্রম সাধারণ মানুষের সাথে মশকরা বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সব সময় দেখে ও বলে আসছি, সরকারের জ্বালানি নীতি ও কৌশল ভুল, দুর্নীতিগ্রস্ত, লুটেরাবান্ধব।
সরকার জানে, জ্বালানির সাথে দেশের অর্থনীতি-দ্রব্যমূল্য-খাদ্য নিরাপত্তার নিবিড় সম্পর্ক আছে। তারপরও সরকার এই খাতে সিদ্ধান্ত নেবার সময় সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিবেচনায় নেয়নি।
করোনার সময় যখন বিশ্ববাজারে দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিল তখন তা আমদানি করে বেশি দামে মানুষের কাছে বিক্রি করেছে।
আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৩৪, ৪৪ ও ৪৬ টাকা বাড়িয়ে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকার তার আর্থিক সংস্থান ও আইএমএফ এর শর্তের কাছে দেশের মানুষকে সঁপে দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।’
বিভিন্ন সময়ে জ্বালানির দাম বাড়ালেও যুদ্ধের অজুহাতে এবারের মূল্যবৃদ্ধি ছিল আরও নিষ্ঠুর।
জনমতের তোয়াক্কা না করে তাদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট পার্টি-বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল-সংগঠন ও সাধারণ মানুষের তীব্র প্রতিবাদের মুখে মাত্র পাঁচ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত শুধু হাস্যকরই নয়, এটা জনগণের সাথে নিষ্ঠুর তামাশা।
বিশ্ব বাজারে যখন দাম কমছে তখন সরকার এখানে মুখ রক্ষার নামে মানুষের সাথে যে রসিকতা করছে তার ভেতর দিয়ে সরকারের মনোভাব আবারও পরিষ্কার হলো যে সরকার সাধারণ মানুষের মতামতের গুরুত্ব দেয় না। তাদের লক্ষ্য ধনী লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা করা।
নেতৃবৃন্দ বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে আসার প্রেক্ষিতে দেশে ও যৌক্তিক হারে দাম কমানো, জনবান্ধব জ্বালানি নীতি গ্রহণ, জ্বালানি খাতের দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা বন্ধ করার দাবি জানান।