
কংগ্রেসের অর্থসংগ্রহ সম্পর্কে
একাদশ কংগ্রেসের কুপন ইতিমধ্যে জেলাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এই কুপন থেকে সংগৃহীত অর্থের এক-চতুর্থাংশ জেলা কমিটিসমূহকে কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির তহবিলে জমা দিতে হবে। অবশিষ্ট তিন-চতুর্থাংশ কংগ্রেসের উদ্বোধনী সমাবেশে যোগদানের জন্য ব্যয় করতে হবে। প্রয়োজন হলে জেলাগুলোকে কেন্দ্র থেকে আরো কুপন সংগ্রহ করে নিতে হবে।
ভেটারেন কমরেডদের নাম আহ্বান
যেসব ভেটারেন কমরেড দশম কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা জীবিত আছেন, তাঁরা সবাই এবং তাঁরা ছাড়াও কমপক্ষে ৩০ বছরের পার্টি জীবনসহ যাঁদের বয়স ইতিমধ্যে ৭০ পেরিয়েছে, তাঁরাও ভেটারেন কমরেড হিসেবে একাদশ কংগ্রেসে আমন্ত্রিত হবেন। এ ধরনের কমরেডদের নাম জেলা কমিটির পক্ষ থেকে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রকে জানাতে হবে।
স্বেচ্ছাসেবকদের নাম আহ্বান
কংগ্রেসের সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ঢাকাস্থ কমরেডরা স্বেচ্ছাসেবকের প্রধান দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রতিটি জেলা থেকে কমপক্ষে ১ জন (কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে, জেলার সামর্থ্য অনুযায়ী এই সংখ্যা বাড়াতে হবে) স্বেচ্ছাসেবক পাঠাতে হবে। জেলা কমিটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মনোনীতদের নাম আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্রকে জানাতে হবে। কংগ্রেসের প্রতিনিধি নন, এমন দায়িত্বশীল ও আগ্রহী কমরেড, যিনি/যাঁরা কংগ্রেস শুরু হওয়ার ১ দিন আগে থেকে কংগ্রেস শেষ হওয়া পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করতে পারবেন, তাঁকেই/তাঁদেরকেই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মনোনীত করে তাঁর/তাঁদের নাম কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।
রণনীতি দলিল সম্পর্কে
বর্তমান ‘ঘোষণা ও কর্মসূচি’ দলিলটিই রণনীতি দলিল হিসেবে কংগ্রেসে বহাল রাখার প্রস্তাব করা হবে। তবে কতক জায়গায় তা সমসাময়িক করা (আপডেট) এবং ভাষাগত উন্নতির জন্য কিছু সংশোধনী (সম্পাদনা অর্থে) প্রস্তাব কংগ্রেসে সরাসরি উত্থাপন করা হবে। রণনীতি দলিল সম্পর্কে কোনো কমরেডের এ ধরনের কোনো প্রস্তাব থাকলে, তা আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পৌঁছাতে হবে।
গঠনতন্ত্রের সংশোধনী সম্পর্কে
গঠনতন্ত্রের যে কোনো সংশোধনী প্রস্তাব কংগ্রেসের অন্তত ১ মাস আগে অর্থাৎ আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পৌঁছাতে হবে। এর পরে পাঠানো কোনো প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়ার সুযোগ নেই (পার্টির গঠনতন্ত্র অনুসারে)।