Revolutionary democratic transformation towards socialism

“পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা, ভ্রাম্যমাণ চিকি‍ৎসা সহায়তা, পুনর্বাসন ও সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি”


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ ২৩ জুন সকাল দশটায় সুনামগঞ্জের কালিপুর, গনিপুর ও হাছন বশত গ্রামে বন্যা দুর্গতদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন ও এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনেন।

এসময় সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মানবেন্দ্র দেব, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি অ্যাড. এনাম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জালাল সুমন, জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদারসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 
এরপর দুপুরে শহীদ মিনারের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সুনামগঞ্জের দুরবস্থা

অতীতের যেকোনো সময়কে হার মানিয়েছে। আরও হতবাক হতে হচ্ছে যে, স্থানীয় মানুষ জানালেন, এই দুরবস্থায় তাদের দেখার প্রশাসনের কেউ নেই। 

তিনি মানুষ বাঁচাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা, ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সহায়তা, পুনর্বাসন ও সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানান।

তিনি জলাবদ্ধতা দূর করতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়ারও দাবি জানান। বন্যার আগাম সতর্কতা না দেওয়ায় এবং এই সময় বিশেষ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই সব ঘটনার মধ্য দিয়ে উন্নয়নের ফাঁপা বুলি প্রকাশিত হলো।

তিনি বলেন, হাওর অঞ্চল, পরিবেশ-প্রতিবেশ বিবেচনা না করে উন্নয়ন উন্মাদনার নামে সড়ক নির্মাণ, হাওরের বুকের

ওপর দিয়ে মহাস্থাপনা নির্মাণ, নদী-নালা ধ্বংস আর অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফল হলো এই বন্যার ভয়াবহতা। এ ধরণের ভুল নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে মানুষের জীবনে আরও সংকট আসতে পারে। তিনি বানভাসি মানুষকে খাদ্যসামগ্রী সহায়তা, পুনর্বাসন, নগদ অর্থ সহায়তা, এনজিওসহ সব ধরণের ঋণের কিস্তি স্থগিত ও সুদ মওকুফের দাবি জানান।

তিনি বলেন, কৃষকের তলিয়ে যাওয়া ধানের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে ক্ষতিপূরণসহ বিশেষ সহায়তা ও সকল ঋণের সুদ মওকুফের দাবি জানান।
 
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত বড় বন্যায় দুর্যোগের মধ্যে সরকার আলো ঝলমলে কর্মসূচি বহাল রাখছে। পদ্মা সেতু চালু করতে উদ্বোধন জরুরি। তবে এই সময়ে আলো ঝলমলে উৎসব পরিকল্পনা বানভাসি মানুষকে উপেক্ষা

করা ছাড়া কিছু না।

তিনি বলেন, বড় বড় বুলি আওড়ানো হলো। অথচ মাথাপিছু বরাদ্দ দেওয়া হলো সাড়ে ছয় টাকা। এ ধরণের প্রহসন বন্ধ করে বাড়ি বাড়ি যেয়ে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেওয়াই সময়ের দাবি।

সিপিবি সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি এনাম আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জালাল সুমনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক ছাত্র নেতা মানবেন্দ্র দেব, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সদস্য নিরঞ্জন দাস খোকন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রুহুল তুহিন, এডভোকেট সন্দীপ দাশ প্রমুখ।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..