Revolutionary democratic transformation towards socialism

জাতীয় শোক দিবসে সিপিবির আলোচনা সভায় সেলিম মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথার্থ সম্মান জানানো হবে


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ৭২’র সংবিধান চার মূলনীতিতে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হবে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে অঙ্গিকার ঘোষণা করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত ১৪ আগস্ট মুক্তি ভবনে সিপিবি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের পতাকাকে উর্ধ্বে তুলে ধরার পটভূমি রচিত হয়েছিল। দেশকে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছিল। ‘পাকিস্তানপন্থা’কে পরিত্যাগ করে প্রগতির পথে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল। কিন্তু ৭১’র পরাজিত শত্রুরা সেই পথ রুদ্ধ করে দেয়। তিনি বলেন, দেশে ‘পাকিস্তানপন্থা’ ফিরিয়ে আনার জন্য পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক পটপরিবর্তন সংগঠিত করে। দুঃখের বিষয় মোশতাক-জিয়া-এরশাদ-খালেদা প্রমুখ কর্তৃক প্রবর্তিত ও লালিত সেই ‘পাকিস্তানপন্থা’র অর্থনৈতিক সামাজিক ধারায় আওয়ামী লীগ সরকারও দেশ পরিচালনা করছে। সমাজতন্ত্রের বদলে পুঁজিবাদী-মুক্তবাজার, সাম্রাজ্যবাদবিরোধীতার বদলে সাম্রাজ্যবাদের পদলেহন, গণতন্ত্রহীনতা ও সাম্প্রদায়িকতার সাথে সহঅবস্থান করে সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত মর্যাদা প্রদর্শন সম্ভব নয়। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শামছুজ্জামান সেলিম, আহসান হাবিব লাবলু, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আদনান রিয়াদ, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ। সভায় বক্তাগণ বলেন, দেশের উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গি শক্তির আমাদের দেশকে ধ্বংসের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে। এই কালো শক্তিকে মোকাবেলা করা আজকে আমাদের প্রধান কর্তব্য। অন্যদিকে শোষণ বৈষম্য বাড়ছে। জনগণের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্কট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতির সুযোগে সাম্রাজ্যবাদ দেশের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ আরো শক্ত করছে। একমাত্র জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধের মাধ্যমে এই দুর্যোগ থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..