উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল নষ্ট হতে বসেছে। ইতিমধ্যে কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে পানি প্রবেশ করে ১ হাজার হেক্টরের বেশি জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা নিরুপায় হয়ে আধ-পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন। অনেক জায়গায় স্থানীয় জনগণ নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে বাঁধ দিচ্ছেন এবং বাঁধ রক্ষার উদ্যোগ নিচ্ছেন। হাওরাঞ্চলে ৫২টি বড় হাওরে ৮১১ টি বাঁধ সংস্কার করার কথা ছিলো ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে, ১০ দিন সময় বাড়িয়েও ১৩০টি বাঁধ সংস্কার কাজ শেষ করতে পারে নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক যৌথ বিবৃতিতে হাওরের ফসল রক্ষার জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “দ্রুত বাঁধের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে না পারলে হাওরের পরিস্থিতি হবে ২০১৭ সালের বিপর্যয়ের মতো। এখনই ফসল রক্ষার উদ্যোগ না নিলে কৃষকরা যেমন সর্বস্বান্ত হবে তেমনি এই পরিস্থিতি দেশে গুরুতর খাদ্য সংকট তৈরি করতে পারে।”
বিবৃতিতে সিপিবি নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বাঁধ নির্মাণ কাজের সাথে যুক্ত কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অবহেলার কারণেই হাওরের কৃষক তার ফসল নিয়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের সংস্কার কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা সময় মতো শেষ হয়নি যা প্রশাসন ও ঠিকাদারদের অনিয়ম, অবহেলা ও ব্যর্থতার ফলাফল।
নেতৃবৃন্দ বাঁধ সংস্কারে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, হাওর ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করার জন্য কায়েমী স্বার্থবাদী সিন্ডিকেট চক্রকে ভেঙে দিয়ে হাওরের উপর যাদের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল তাদেরকে নিয়ে হাওর ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার দাবি জানান।