বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ ও জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী কমরেড জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদক কমরেড মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক কমরেড হামিদুল হক আজ ৯ জুলাই ২০২১ সংবাদপত্রে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানাতে অগ্নিকাণ্ডে সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৫২ জনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী নিহতদের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
style="text-align: justify;">
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা মহামারীতে এই কঠোর লকডাউনের সময় মুনাফালোভী মালিক ও তাদের স্বার্থ রক্ষাকারী সরকার কারখানা চালু রেখে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করেছে অথচ তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের নিশ্চিতা বিধান করা হচ্ছে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, কারখানায় শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব মালিকের এবং নিরাপত্তা ও নিরাপদ পারিবেশ আছে কিনা তা তদারকি করার দায়িত্ব কারখানা পরিদর্শক তথা সরকারের। জুস কারখানায় দাহ্য পদার্থ থাকায় বহুতল ভবনে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং কারখানার গেট বন্ধ থাকায় শ্রমিকেরা বের হতে না পারার অভিযোগ রয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, তাজরীন, তোবা গার্মেন্টস, রানা প্লাজাসহ অতীতের এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় মালিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বারে বারে শ্রমিকের প্রাণহানী ঘটছে। সেজানের অগ্নিকাণ্ড এবং শ্রমিকের নিহত-আহত হওয়ার ঘটনা বাস্তবে মালিক-সরকারের গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।