Revolutionary democratic transformation towards socialism

উপ-নির্বাচন সম্পর্কে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র বক্তব্য তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন

১৩ জুন ২০২১, মৈত্রী মিলনায়তন

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কালো দিবস হিসেবে বিবেচিত। জনগণের ভোটাধিকার হরণের এক অনন্য নজির স্থাপন করা হয়েছিল এই দিনে। ভোট কারচুপি, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, মিডিয়া ক্যু ইত্যাদি সবকিছুকে ছাপিয়ে যেভাবে ভোট ডাকাতি করা হয়েছিল তা ইতিহাসে বিরল। নির্বাচনের আগের রাতে অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর রাতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে আগাম সিল মেরে রেখে আওয়ামী লীগ তার বিজয়কে নিশ্চিত করে রেখেছিল। রাখ ঢাক না করে খোলামেলাভাবেই এই দুষ্কর্ম করা হয়েছিল। 

কেবল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই নয়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নির্লজ্জভাবে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছিল। বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মধ্যে ৪১টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী মাত্র ১২টি দল ওই নির্বাচনে অংশগ্রগণ করেছিল। একতরফা এই নির্বাচনে নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচিত’ হয়ে তার বিজয় নিশ্চিত করেছিল। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আওয়ামী লীগ পরপর দুটো নির্বাচনে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করে গোটা নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। শুধু জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচনকেও ধ্বংস করা হয়েছে। নির্বাচনের বদলে সর্বত্র চলছে সিলেকশন। নির্বাচনের প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নেই। নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কিছুই নয়।

নৈশকালীন ভুয়া ভোটের সরকার কার্যত একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছে। একে একে জনগণের গণতান্ত্রিক সব অধিকার পদদলিত করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। জনগণের প্রতি আক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বন্ধুগণ
৪টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা মনে করি, বর্তমান সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এই উপ-নির্বাচনেও মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকবে না এবং আগের নির্বাচনের মতোই এই নির্বাচনও অংশগ্রহণমূলক হবে না। তাই এসব আসনে সিপিবির যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও সিপিবি এসব উপ-নির্বাচনে অংশগ্রণ করবে না।

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা
স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সেজন্য সিপিবি দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। ভোটাধিকারসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সিপিবি তীব্র গণসংগ্রাম গড়ে তুলবে।
আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।  


Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..