ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক সিতারাম ইয়েচুরীর সঙ্গে সিপিবি নেতৃবৃন্দের বৈঠক

Posted: 29 মে, 2015

সার্কভূক্ত দেশগুলোর কমিউনিস্ট পার্টির ঢাকায় সফররত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পৃথক পৃথক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকের অংশ হিসেবে আজ বিকাল ৪টায় সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সীতারাম ইয়েচুরীর সঙ্গে সিপিবি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, সিপিবি’র উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, আন্তর্জাতিক বিভাগের সদস্য হাসান তারিক চৌধুরী, আশরাফ হোসেন আশু।বৈঠকের শুরুতে ভারতের এই বামপন্থী নেতাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সীতারাম ইয়েচুরী তার আলোচনায় বলেন, সশস্ত্র ধর্মীয় মৌলবাদের ভয়াবহ উত্থান ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের জন্য এক বিরাট উদ্বেগের বিষয়। ভারতের বর্তমান মোদি সরকার তথাকথিত উন্নয়নের বক্তৃতা দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু তাদের সাম্প্রদায়িকীকরণের রাজনীতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। “শাইনিং ইন্ডিয়ার” কথা বলে বর্তমান মোদি সরকার দরিদ্র কৃষক, শ্রমিক শ্রেণি ও মধ্যবিত্তের ওপর আঘাত হানছে। ভারতের জনগণ আজ নয়া উদারবাদী অর্থনীতির চরম আঘাত সহ্য করছে। তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদ এ অঞ্চলে আগের চেয়ে অনেক বেশী সক্রিয় হয়েছে। দু’দেশের মানুষ আজ এই দুই শত্রুর আঘাতের শিকার। সামাজ্যবাদ ও লুটেরা পুঁজিবাদী রাজনীতির বিপরীতে বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে হবে। বাম-গণতান্ত্রিক শক্তিই হলো ধর্মনিরপেক্ষতার সবচেয়ে বড় রক্ষক। কমরেড সীতারাম বলেন, স্থল চুক্তির মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে। তিনি দু’দেশের জনগণের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সিপিবি বাংলাদেশে মৌলবাদ-সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে ইতিহাসের পরীক্ষিত শক্তি। জোট-মহাজোটের বাইরে বাম-গণতান্ত্রিক শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সিপিবি’র কর্মসূচি দেশে-বিদেশে জনগণের মধ্যে বেশ সমর্থন লাভ করেছে। নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে দু’দেশের পার্টির সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বার্তা প্রেরক চন্দন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় দপ্তর বিভাগ