সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চার বিক্ষোভ সমাবেশ গাজায় প্যালেস্টাইনীদের হত্যা বন্ধ কর। বিশ্ববাসী রুখে দাঁড়াও

Posted: 01 এপ্রিল, 2018

নিরীহ প্যালেস্টাইনীদের ওপর ইসরাইলী বাহিনীর বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও সাম্রাজ্যবাদ-জায়নবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামে সংহতি জানাতে সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজ ১ এপ্রিল বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের ফিরোজ আহমেদ এবং সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য অ্যাড. হাসান তারিক চৌধুরী। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্রাজ্যবাদের মদদে প্যালেস্টাইনের ওপর বর্বর হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় ইসরাইলী বাহিনী সম্প্রতি ১৮ জন প্যালেস্টাইনী নাগরিককে হত্যা করেছে। এ বর্বর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বিবৃতিদান করতে গেলে মার্কিন বাধার কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে ইসরাইলীদের সন্ত্রাসের পক্ষে মার্কিনের ন্যাক্কারজনক ভূমিকা আজ বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ’৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ফিলিস্তিন আমাদের সমর্থন দিয়েছিল। এখন আমাদেরও দায়িত্ব নির্যাতিত প্যালেস্টাইনীদের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করেনি। সাম্রাজ্যবাদের দালালির কারণেই সরকারগুলোর এমন নিশ্চুপ আচরণ মন্তব্য করে নেতৃবৃন্দ বলেন, এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিবাদ গড়ে উঠেছে। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গোটা বিশ্ব আজ সাম্রাজ্যবাদীদের সন্ত্রাসের শিকার। গাজার সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড এর থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। তাদের মূল উদ্দেশ্য যুদ্ধ এবং অন্যের সম্পদ লুণ্ঠন করা। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের যখন ভীত নড়ে গেছে তখন তারা দেশে দেশে যুদ্ধাবস্থা তৈরি করে তাদের অস্ত্র ব্যবসাকে আরও বেগবান করতে তৎপর। নেতৃবৃন্দ বলেন, প্যালেস্টাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যে যখন আরও তেলের খনি উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তখন মূলত তা দখলে নেয়ার অপতৎপরতার অংশ হিসেবেই সাম্রাজ্যবাদীদের এ নগ্ন হামলা। গত ৭০ বছরে একদিকে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনিরা আন্দোলন করছে অন্যদিকে ইসরাইল অন্যায়ভাবে তাদের ভূখ- বাড়িয়ে চলেছে। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা নিরীহ প্যালেস্টাইনীদের হত্যা করছে তাদের বলা হচ্ছে শান্তিরক্ষী আর যারা নিজের দেশে শান্তিতে বাঁচতে চায় তাদের বলা হয় সন্ত্রাসী। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশে দেশে রুখে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমেরিকা ইসরাইলকে লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, পুঁজিবাদকে টিকিয়ে রাখাই এদের মূল উদ্দেশ্য। সমাবেশ থেকে জলি তালুকদার, সাদেকুর রহমান শামীম, কে এম মিন্টুসহ গ্রেফতারকৃত শ্রমিক নেতাদের মিথ্যা মামলায় জামিন বাতিল করে জেলে প্রেরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দ্রুত মুক্তির দাবি জানানো হয়। সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।