এফবিআই-এর প্রয়োজন নেই, আমেরিকা জামায়াতকে লালন-পালন করা বন্ধ করলেই জঙ্গীবাদ দূর হয়ে যাবে - মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

Posted: 06 মার্চ, 2015

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ডের তদন্তে আমেরিকা ঢাকায় এফবিআই প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। আমেরিকা ‘সর্প হয়ে দংশন করে ও ওঝা হয়ে ঝাড়ে’। তিনি বলেন, এফবিআই-এর কোন প্রয়োজন নেই, আমেরিকা জামায়াতকে মদত দেয়া বন্ধ করলেই জঙ্গীবাদ দূর হয়ে যাবে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সিপিবি সভাপতি সেলিম আরো বলেন, দেশের প্রধান তিন বিপদ- সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও লুটপাটতন্ত্র। এই বিপদ থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দিয়ে সেই কাজ হবে না, কারণ তারা এই শত্রুদের স্বার্থ রক্ষা করে চলে এবং ক্ষমতার লোভে তাদের সাথে আপোষ করতে পিছপা হয় না। তিনি বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেন্দ্রিক দ্বিদলীয় মেরুকরনের বাইরে বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প বলয় গড়ে তোলার কঠিন সংগ্রামে সিপিবি তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ‘পৃথিবী আজ দু’ভাগে বিভক্ত- শোষক আর শোষিত’- বঙ্গবন্ধু এ কথা স্বীকার করেছিলেন। আমাদের কর্তব্য দেশের স্বাধীনতার পক্ষে সংগ্রাম করার পাশাপাশি শোষিত মানুষের স্বার্থে লড়াই করা। আজ ৬ মার্চ বিকালে পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা কমরেড মনজুরুল আহসান খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য শামছুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহবুবুল হক তারা, অ্যাড. মাকসুদা আক্তার লাইলী, সাদেকুর রহমান শামীম, ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল, চাকসু’র সাবেক ভিপি ও সিপিবি নেতা শামসুজ্জামান হীরা, যুব নেতা বিকাশ সাহা ও ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জাহিদ হোসেন খান। কমরেড মনজুরুল আহসান খান বলেন, কমিউনিস্ট পার্টির রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য। পার্টির নেতৃত্বে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের স্মরণ করে তিনি বলেন, দেশে এমন কোন প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম হয়নি যেখানে কমিউনিস্টদের অগ্রগণ্য ভূমিকা ছিল না। ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম, টঙ্ক-তেভাগা-নানকার বিদ্রোহসহ শত সংগ্রামে কমিউনিস্ট নেতাদের জেল জীবনের যোগফল অন্য যেকোন দলের চেয়ে বহুগুণ বেশি। আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণ মানুষকে পার্টির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করে শোষণমুক্তির সংগ্রামকে বেগবান করতে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে হবে। বার্তা প্রেরক কেন্দ্রীয় দপ্তর বিভাগ