চট্টগ্রাম
বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে দেওয়ার বিষয়ে প্রধান
উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ এবং এই উদ্যোগ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন
সিপিবির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন
প্রিন্স।
আজ ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ
বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি
সমৃদ্ধ নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার ভার বিদেশি কোম্পানির হাতে
তুলে দেওয়ার স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থবিরোধী।
বিবৃতিতে
নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ চট্টগ্রাম বন্দর
ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার কাজ দ্রুত করার তাগিদ
দিয়ে বলেছেন, ‘আর কিছু শুনতে চাই না, বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরা যারা
তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ রাজি না থাকলে রাজি করাতে
হবে।’ জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনযোগ না দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর
বিদেশিদের হাতে দেবার এহেন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে সিপিবি।
নেতৃবৃন্দ
বলেন, এই টার্মিনালটি দেশের অর্থে নির্মিত, যেখানে দুই হাজার কোটি টাকার
অত্যাধুনিক গ্র্যান্টি ক্রেনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে।
দেশের অর্থে নির্মিত এই টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
রহস্যজনক এবং একটি সুগভীর চক্রান্তের ফল। বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীদের
প্রতিবাদ এবং সারাদেশের মানুষের উদ্বেগকে গুরুত্ব না দিয়ে, মতামত না গ্রহণ
করে স্বেচ্ছাচারী প্রক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ দেশের সার্বভৌমত্বকে বিপদে
ফেলবে।
নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের আমদানি-রপ্তানির
একটি মূল কেন্দ্র, বাহিনী এবং এর আশেপাশে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ
স্থাপনাসমূহ অবস্থিত। একাধিক রাষ্ট্রীয় স্থাপনাসমূহ ঘেঁষে থাকা এই বন্দরকে
বিদেশি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে দেওয়া বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য
একটি হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, করিডোর প্রদানের নামে
বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার প্রচেষ্টা চলছে। দেশের জনগণের স্বার্থকে
ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো ধরনের চুক্তি সম্পাদন করা যাবে না। দেশ ও জনগণের
স্বার্থবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে
নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে
সরকারকে সরে আসতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল
বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার পাঁয়তারা বন্ধ করতে হবে।