অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি, আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা দাবি

Posted: 18 মার্চ, 2021

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি, মন্দিরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বামগণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক মোবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউসিএলবি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক আজ ১৮মার্চ, এক বিবৃতিতে বলেন,হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা গ্রামবাসীদের উত্তেজিত করে লাঠি-সোটা, বল্লম, রামদা, কিরিচসহ নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে হাজার হাজার হামলাকারীদের নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে আক্রমণ করে ৮৮টি ঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। একাধিক পারিবারিক মন্দির ভাঙচুর করে, কষ্টিপাথরের মুর্তি নিয়ে যায়। হামলাকারীরা প্রতিটি ঘর থেকে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার ও মুল্যবান জিনিস লুট করে নিয়ে যায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করে দেশ স্বাধীন করলেও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তির আগ মুহূর্তে হিন্দুধর্মালম্বীদের গ্রামে আক্রমণ প্রমাণ করে গত পঞ্চাশ বছরেশাসকশ্রেণি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কায়েম থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। ক্ষমতাসীন শ্রেণির একদল সম্প্রদায়িক জামাতকে আরেকদল হেফাজতকে প্রশ্রয় দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিকে আস্কারা দিচ্ছে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার হেফাজতকে তোষামদ করে তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।
নেতৃবৃন্দবলেন, কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ওপর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাসিরনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা, ধর্ম অবমাননার নামে লালমনিরহাটে মানুষ মারার বিচার না হওয়ায় মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি একের পর এক অপকর্ম করার সুযোগ পাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক লুটপাটকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা প্রদানের দাবি জানান।