Revolutionary democratic transformation towards socialism

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে রায়হানের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে


আজ ২ নভেম্বর ২০২০, সোমবার, সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদের পরিবারের সাথে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দের সাক্ষাতোত্তর সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে রায়হানের হত্যা ও তদন্ত সম্পর্কে বাম জোটের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম গনতান্ত্রিক জোটর সমন্বয়ক ও সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আকবর খান, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য কমরেড ফখরুদ্দিন কবির আতিক, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মনিরউদ্দীন পাপ্পু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানকে নিপীড়ন করে হত্যার ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট শাখা ও জোটের শরিক দলসমূহ ও তাদের ছাত্র-যুব-সাংস্কৃতিক গণসংগঠনসমূহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রায়হানের পরিবার ও আখালিয়াবাসীর আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল গত ২৮ অক্টোবর সিলেটে গিয়ে রায়হানের শোকসন্তপ্ত

মা সালমা বেগম ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের বক্তব্য শুনে। বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতৃবৃন্দ নিহত রায়হান আহমদের মায়ের দাবিগুলোর সাথে পরিপূর্ণ ঐকমত্য পোষণ করে এবং রায়হান হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁর সাথে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে। বাম গণতান্ত্রিক জোট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রায়হান হত্যার বিচারের জন্য নিচের দাবিসমূহ তুলে ধরে- ১) অবিলম্বে প্রধান আসামী এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করতে হবে। পুলিশের হেফাজত থেকে যাদের সহযোগিতায় সে পালিয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ২) পিবিআইয়ের পরিবর্তে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। ৩) ঘটনার বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য প্রদান করতে হবে। ৪) এ হত্যাকাণ্ডের পিছনে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে। ষড়যন্ত্রের সন্ধান পাওয়া গেলে কোনো বিলম্ব ছাড়াই ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে হবে। ৫) একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক ‘ছিনতাইকালে গণপিটুনীতে নিহত’ গল্প প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ৬) সিসিটিভি’র ফুটেজ মুছে ফেলার বিষয়ে অভিযুক্ত নোমান ও প্রথম পোস্টমোর্টেমকারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৭) ২০১৩ সালের ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন’ প্রয়োগের মাধ্যমে থানা ও জেল হাজতে পুলিশ কর্তৃক নিপীড়ন কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..