গতকাল ৩০ ডিসেম্বর বাম গণতান্ত্রিক জোট ঘোষিত ‘কালো দিবস’-এর কেন্দ্রীয় ও জেলা কর্মসূচিসমূহে পুলিশি বাধা, হামলার প্রতিবাদে আজ ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, হামলা-মামলা করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন টিকিয়ে রাখা যাবে না। পুলিশ দিয়ে নিপীড়ন নির্যাতন করে বামপন্থীদের জনগণের স্বার্থের লড়াই থেকে বিচ্যুত করা যাবে না।
জোট সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জমান রতন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আকম জহিরুল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু
ভূঁইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম সবুজ।
নেতৃবৃন্দ গতকাল ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির সরকারের ১ বছর পূর্তিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট ঘোষিত কালো দিবসে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ও সারাদেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশি আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানান। তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখীন বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশি হামলায় কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকিসহ ৫০ জন নেতাকর্মীকে আহত করার নিন্দা জানান। নেতৃবৃন্দ পুরুষ পুলিশ কর্তৃক নারী মিছিলকারীদের উপর আক্রমণ এবং আঘাত করে তাদের মাথা ফাটিয়ে দেয়া ও শারীরিক লাঞ্ছনার প্রতিবাদ জানান।
নেতৃবৃন্দ ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের অবৈধ সংসদ ও সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচনেরে দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।