বাম গণতান্ত্রিক জোট এর সভায় নির্বাচন কমিশনের আচরণকে একচোখা হিসেবে উল্লেখ করে, আসন্ন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ ২৫ নভেম্বর সকাল ১১টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিপিবির আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, কমিউনিস্ট লীগের মোশারফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু, মমিনুর রহমান বিশাল, বাসদ (মার্কসবাদী)’র মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয় ইভিএম ব্যবহারে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের আপত্তি উপেক্ষা করে ইভিএম ব্যবহারের রহস্য দেশবাসী জানতে চায়। জনমত উপেক্ষা করে ৪ হাজার কোটি টাকায় ইভিএম প্রকল্প ‘হালাল’ করার এই পদক্ষেপ জনগণ মেনে নেবে না। সভায় বলা হয় ‘জোট-মহাজোট-ফ্রন্ট নির্বাচনে প্রার্থী মনোয়নের নামে শোডাউন, নীতি নৈতিকতাহীনভাবে দল বদল, টাকার খেলা অব্যাহত রেখে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে, অথচ নির্বাচন কমিশন নির্বিকার। বলা হচ্ছে, আইন শৃংখলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের কথা ছাড়া কাজ করছে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান পরিস্কার করতে পারেনি। পুলিশ দিয়ে প্রিডাইজিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের খোঁজ-খবর নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হয়নি। কোনো কোনো মন্ত্রী, এমপিদের ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি। এ বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় খবর বের হলেও নির্বাচন কমিশনের কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।’ সভায় বলা হয়, নির্বাচনের পর্যবেক্ষকদের ‘মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থাকা’ ও নিবন্ধন বাতিলের কথা বলে আজ্ঞাবহ পর্যবেক্ষকদের উৎসাহিত ও প্রকৃত পর্যবেক্ষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। যা নির্বাচনী কার্যক্রমে কারসাজির কোনো পরিকল্পনা থাকলে তাকেই উৎসাহিত করবে। সভায় অবাধ, নিরপেক্ষ অর্থবহ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের দৃঢ় ভূমিকা, রুটিন কাজের মধ্যে সরকারের কাজ সীমাবদ্ধ রাখা ও নির্বাচন কমিশন যে সহায়তা করা এবং নির্বাচন ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হয়। সভায় আসন্ন নির্বাচনে দেড় শতাধিক আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা, বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচনী ইশতেহারসহ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।