Revolutionary democratic transformation towards socialism

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পাঁয়তারা বন্ধ ও নির্বাচনকালীন তদারকি সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু কর


আজ ১০ নভেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, সকালে ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে বাম গণতান্ত্রিক জোট শহীদ নূর হোসেন চত্বরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গণমিছিল পল্টন মোড় থেকে গুলিস্তান হয়ে বায়তুল মোকাররম দিয়ে ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড শহিদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি কমরেড আবদুল আলীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

গণমিছিলের পূর্বে সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, শহীদ নূর হোসেন ও আমিনুল হুদা টিটো মৃত্যুর ৩৬ বছর অতিবাহিত হলেও আমাদের এখনো স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে ভোটাধিকারসহ জনগণের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সভা-সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। বিরোধী দল ও মত দমনে বর্বরোচিত হামলা, গণগ্রেফতার, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা

দায়ের করে সরকার আবারও পাতানো নির্বাচনের পথে হাঁটছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনেও সরকার পুলিশ দিয়ে নির্বিচারে গুলি ও ডান্ডা মেরে দমনের পথে হাঁটছে। ইতিমধ্যে ৩ জন গার্মেন্টস শ্রমিককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলেছে তার সরকার ও নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো তিনি জনমত উপেক্ষা করে ২০১৪ ও ২০১৮-এর মতো আরও একটি একতরফা নির্বাচনের জন্য ষড়যন্ত্রে মেতেছেন।

তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসাবে দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসানের লক্ষ্যে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানান। 

তিনি আরও বলেন, সরকার যদি এই গণদাবি উপেক্ষা করে সহিংসতা, হামলা, মামলা, গণগ্রেফতার, নির্যাতন ও নিপীড়নের মধ্য দিয়ে একতরফা প্রহসনমূলক নির্বাচনের জন্য আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করে, তাহলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ থেকে দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সমাবেশ সংগঠিত করতে এবং একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে সারাদেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, পরদিন থেকে হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের জন্য জোটের নেতা-কর্মী, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি ও জনগণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।


Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন

Login to comment..