১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লব কোনো দেশের স্হানিক ঘটনা ছিল না। এটা ছিল গোটা বিশ্বের মানব জাতির ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেবার ঘটনা। এই বিপ্লব সারা দুনিয়ায় মানব মুক্তির দিশা দিয়েছিল। দেশে দেশে শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মেহনতি মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছিল। পুঁজিবাদী ব্যক্তিমালিকানার অন্যায্য সমাজের বদলে সামাজিক মালিকানার সাম্যের দুনিয়া প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছিলো। সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটলেও আজো সেই স্বপ্ন এবং তা বাস্তবায়নের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে।
৭ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার ঢাকার পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি আয়োজিত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব বার্ষিকীর আলোচনা সভায় সিপিবি নেতৃবৃন্দ এ বক্তব্য তুলে ধরেন।
সিপিবি সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ্ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ‘রুশ বিপ্লব এবং শোষিতের ক্ষমতা ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এম এম আকাশ। আলোচনা সভায় মূল আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য তত্ত্ব- শিক্ষা-গবেষণা বিভাগের প্রধান কমরেড
শাহীন রহমান। আলোচনা সভার সঞ্চালক ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক কমরেড হাসিনুর রহমান রুশো।
সিপিবি নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় বলেন- রুশ বিপ্লব রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে ক্ষমতা দখল করে শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল। সকল প্রকার শোষণ-নির্যাতন-বৈষম্যের চির অবসান ঘটিয়েছিল। রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পথ ধরেই এ দেশের শ্রমিক শ্রেণিসহ নিপীড়ত শোষিত জনগণকে এগিয়ে যেতে হবে। সাম্প্রতিক কালে সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার সাময়িক বিপর্যয় ঘটলেও রুশ বিপ্লবের দীপ শিখা আজও সারা দুনিয়া প্রাসঙ্গিকতায় প্রজ্জ্বলিত।